ঋতু উৎসব
বাঙালিকে আপন সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে ষাটের দশক থেকেই ঋতু উৎসবের আয়োজন করে আসছে ছায়ানট। তবে উৎসবগুলো সীমাবদ্ধ কেবল বর্ষা, শরৎ ও বসন্ত ঋতু ঘিরে।
ছায়ানটের প্রথম খোলা মাঠের অনুষ্ঠান বসন্ত-উৎসব। মঞ্চ হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর সংলগ্ন স্যার সলিমুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষের বাড়ির গাড়ি-বারান্দার গা ঘেঁষে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাজানো হয় করিম খাঁর বসন্তের রাগালাপের রেকর্ড। পরে পর্যায়ক্রমে সমবেত ও একক কণ্ঠে গান,আবৃত্তি। অনুষ্ঠানের শেষে শিল্পীরা ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে গানটি গাইতে গাইতে মঞ্চ থেকে শ্রোতাদের মাঝে নেমে যান। বসন্তের সুরে আপ্লুত হয়েছিলেন সকলে।
শরৎ-উৎসব নিয়মিত আয়োজিত হত ওয়ারির বলধা গার্ডেনে। ভোরের এই আয়োজনে এমনকি শ্রোতারাও জড়ো হতেন শিউলি ফুলের সাজ নিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশকে নতুন উদ্যমে শুরু হয় শরৎ-উৎসব। নিয়মিত উৎসবস্থল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চারুকলা অনুষদের বকুলতলা। অবশ্য মাঝের কটি বছর ধানমণ্ডি লেক সংলগ্ন শতায়ু অঙ্গনেও হয়েছে শরৎ-উৎসব।
অন্য ঋতু উৎসবের মতোই বর্ষা-উৎসবও প্রাণবন্ত করে তোলে গান-পাঠ ও নৃত্য। তবে শুরু থেকেই একটু অনিয়মিত ছিল এই আয়োজন। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিক ঘিরে ১৪২০ বঙ্গাব্দ থেকে বর্ষা ঋতু অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে সুফিয়া কামাল স্মারণিক বর্ষা-উৎসব নামে।
সবগুলো
তারিখ | নাম | স্থান |
২১ আশ্বিন ১৪৩০ | শরতের অনুষ্ঠান ১৪৩০ | ছায়ানট মিলনায়তন |
৯ আষাঢ় ১৪৩০ | বর্ষার অনুষ্ঠান ১৪৩০ | ছায়ানট মিলনায়তন |
২৬ ফাল্গুন ১৪২৯ | বসন্তের অনুষ্ঠান ১৪২৯ | ছায়ানট মিলনায়তন |
১৫ আশ্বিন ১৪২৯ | শরতের অনুষ্ঠান ১৪২৯ | বকুলতলা, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
১৪ শ্রাবণ ১৪২৯ | সুফিয়া কামাল স্মারক বর্ষার অনুষ্ঠান, ১৪২৯ | ছায়ানট মিলনায়তন |
২ আশ্বিন ১৪২৮ | "শরৎ-প্রাতের আলোর বাণী" শরতে ছায়ানটের নিবেদন ১৪২৮ | অনলাইন- ইউটিউব, ফেইসবুক |
৬ আষাঢ় ১৪২৮ | সুফিয়া কামাল স্মারক বর্ষার অনুষ্ঠান, ১৪২৮ | অনলাইন - ইউটিউব ও ফেইসবুক |
১ ফাল্গুন ১৪২৬ | বসন্তের অনুষ্ঠান ১৪২৬ | ছায়ানট মিলনায়তন |
১৯ আশ্বিন ১৪২৬ | শরতের অনুষ্ঠান ১৪২৬ | চারুকলা অনুষদের বকুলতলা |
৭ আষাঢ় ১৪২৬ | ছায়ানটের বর্ষার অনুষ্ঠান ১৪২৬ | ছায়ানট মিলনায়তন |
৮ চৈত্র ১৪২৫ | বসন্তের অনুষ্ঠান ১৪২৫ | ছায়ানট মিলনায়তন |