ফণ্ট ডাউনলোড


বিজয় দিবস ২০২২

  • ১ পৌষ ১৪২৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৪৫:০০ ঘটিকা
  • ১ পৌষ ১৪২৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩৪:০০ ঘটিকা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ

সকলে মিলে দেশের গান গাইবার, দেশের কথা বলবার ধারবাহিকতায় এবারো মহান বিজয়-দিবস উদ্‌যাপন করেছে ছায়ানট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে দীপ্ত টেলিভিশন।

২০১৫ সাল থেকে মহান বিজয় দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে দেশগান গাইবার সফল আয়োজন করছে ছায়ানট। আগ্রাসী কোভিড ১৯-এর কারণে ২০২০ সালে এই আয়োজনে ছেদ পড়ে। ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানের জন্য বিজয় দিবসের আয়োজন উক্ত স্থানে করা সম্ভব হয়নি।

এবারের আয়োজনে ছিল ৮টি সম্মেলক গান, সাথে সম্মেলক নৃত্য। একক গান পরিবেশন করেন নাসিমা শাহিন ফ্যান্সী ও সুমন মজুমদার এবং আবৃত্তি করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয়সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান যথারীতি বিকেল পৌনে চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠান শেষ হয় ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ ও বাঙালির পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের ক্ষণকে স্মরণ করে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইবার মধ্য দিয়ে।

সকলে মিলে নৃত্যশৈলীর সঙ্গে মুক্তকণ্ঠে দেশগান গাওয়ার এবং দেশকথা শোনার-বলার গোটা আয়োজনকেই প্রতীকীভাবে জাতীয় পতাকার রঙ দিয়ে সজ্জিত করার প্রয়াস ছিল এ আয়োজনে।

মিলিত কণ্ঠে দেশের গান গাইবার এই আয়োজনের নিরাপত্তা বিধানে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পাকিস্তান আমলে বাঙালির মনে আত্ম-পরিচয়ে বাঁচবার বিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে ১৯৬৭ সালে ছায়ানট বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু করেছিল। আজ বিশ্ব জুড়ে ধর্ম-বর্ণ-আদর্শ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখ বাঙালির সবচে বড়ো প্রাণের উৎসব। সেই সাংস্কৃতিক জাগরণের সঙ্গে মানবিক বোধসঞ্চারের লক্ষ্যে ‘সকলে মিলে দেশ-গান গাইবার, দেশ-কথা বলবার’ এই মিলনানুষ্ঠান শুরু হয় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের মহান বিজয়-দিবসে। মহান বিজয়-দিবসের দিনে ভেদাভেদ দূরে ঠেলে জাতীয় পতাকার সবুজে দেহ ও মন রাঙিয়ে সর্বান্তকরণে ষোল আনা বাঙালি হয়ে উঠবার ব্রত নিতে সবাইকে আহ্বান জানায় ছায়ানট।

অনুষ্ঠানক্রম:

ক্রম বিষয় কথা/শিরোনাম গীতিকার/সুরকার পরিবেশনা
সূচনা  মুখে বাংলা, বুকে বাংলা, আমার সোনার বাংলা, জয় বাংলা
জাতীয় সঙ্গীত     সম্মেলক
নৃত্যগীত আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্মেলক
নৃত্যগীত এখন আর দেরি নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্মেলক
নৃত্যগীত সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা কাজী নজরুল ইসলাম/ কাজী নজরুল ইসলাম সম্মেলক
নৃত্যগীত চল্ চল্ চল্ কাজী নজরুল ইসলাম/ কাজী নজরুল ইসলাম সম্মেলক
একক গান বাংলার মুখ, আমি দেখিয়াছি জীবনানন্দ দাশ/ অজিত রায় সুমন মজুমদার
নৃত্যগীত বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার/ শ্যামল মিত্র সম্মেলক
নৃত্যগীত বলো বলোরে বলো সবে মোঃ মোশাদ আলী/ মোঃ মোশাদ আলী সম্মেলক
একক আবৃত্তি স্বাধীনতা তুমি রচয়িতা: শামসুর রাহমান জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
ছবি রচয়িতা: আবু হেনা মোস্তফা কামাল
১০ নৃত্যগীত হেঁইয়ো রে হেঁইয়ো  আবদুল করিম/ আবদুল করিম সম্মেলক
১১ একক গান এক সাগর রক্তের বিনিময়ে গোবিন্দ হালদার/ আপেল মাহ্‌মুদ নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী
১২ সম্মেলক গান আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই মীরা দেববর্মন/ শচীন দেববর্মন সম্মেলক
১৩ নৃত্যগীত লাখো লাখো শহিদের রক্তমাখা আবদুল লতিফ/ আবদুল লতিফ সম্মেলক
১৪ জাতীয় সঙ্গীত     সম্মেলক

 

অনুষ্ঠানের ফেইসবুক ভিডিও (সরাসরি সম্প্রচারিত)


বিজ্ঞপ্তি সবগুলো..

আয়োজন সবগুলো..

১ পৌষ ১৪৩০
বিজয় দিবস ২০২৩