বিজয় দিবস ২০২২: সম্মেলক গানের বাণী ও শ্রবণ-নমুনা |
প্রকাশকাল: ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯ |
আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী!
ওগো মা,তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে॥
ডান হাতে তোর খড়্গ জ্বলে,বাঁ হাত করে শঙ্কাহরণ,
দুই নয়নে স্নেহের হাসি,ললাটনেত্র আগুনবরণ।
ওগো মা, তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে ॥
তোমার মুক্তকেশের পুঞ্জ মেঘে লুকায় অশনি,
তোমার আঁচল ঝলে আকাশতলে রৌদ্রবসনী!
ওগো মা,তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে ॥
যখন অনাদরে চাই নি মুখে ভেবেছিলেম দুঃখিনী মা
আছ ভাঙা ঘরে একলা পড়ে,দুখের বুঝি নাইকো সীমা।
কোথা সে তোর দরিদ্র বেশ,কোথা সে তোর মলিন হাসি--
আকাশে আজ ছড়িয়ে গেল ওই চরণের দীপ্তিরাশি!
আজি দুখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী_
তোমার অভয় বাজে হৃদয়মাঝে হৃদয়হরণী!
ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে!
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে ॥
শ্রবণ নমুনা: আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে
এখন আর দেরি নয়, ধর্ গো তোরা হাতে হাতে ধর্ গো ।
আজ আপন পথে ফিরতে হবে সামনে মিলন-স্বর্গ ॥
ওরে ওই উঠেছে শঙ্খ বেজে, খুলল দুয়ার মন্দিরে যে
লগ্ন বয়ে যায় পাছে, ভাই, কোথায় পূজার অর্ঘ্য? ।
এখন যার যা-কিছু আছে ঘরে সাজা পূজার থালার ’পরে,
আত্মদানের উৎসধারায় মঙ্গলঘট ভর্ গো ।
আজ নিতেও হবে, আজ দিতেও হবে, দেরি কেন করিস তবে-
বাঁচতে যদি হয় বেঁচে নে, মর্তে হয় তো মর্ গো॥
সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা-পথে এসো মোরা যাই।
সঙ্ঘ বাঁধিয়া চলিলে অভয় সে পথে মৃত্যু নাই॥
(মোরা) সঙ্ঘবদ্ধ হইলে তাদের সাথে,
ঐশী শক্তি সহায় হইয়া চলে হাত রেখে হাতে
সঙ্ঘবদ্ধ হইলে সারথি ভগবানে মোরা পাই॥
(মোরা) সঙ্ঘবদ্ধ হই যদি একবার
জাতি ও ধর্ম ভেদ রবে নাকো আর
পাব সাম্য, শান্তি, অন্ন, বস্ত্র অস্ত্র পুনঃ সবাই॥
শ্রবণ নমুনা: সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা-পথে
চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্।
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্॥
ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
আমরা দানিব নূতন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।
চল্ রে নও জোয়ান
শোন্ রে পাতিয়া কান
মৃত্যু-তোরণ-দুয়ারে-দুয়ারে
জীবনের আহ্বান।
ভাঙ্ রে ভাঙ্ আগল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্॥
বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ,
বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার মুসলমান,
আমরা সবাই বাঙালি ॥
তিতুমীর, ঈসা খাঁ, সিরাজ
সন্তান এই বাংলাদেশের।
ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, নেতাজি
সন্তান এই বাংলাদেশের।
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কণ্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
‘জয় বাংলা’ ব’লে রে ভাই॥
ছয়টি ছেলে বাংলাভাষার চরণে দিল প্রাণ,
তাঁরা বলে গেল ভাষাই ধর্ম,
ভাষাই মোদের মান।
মাইকেল, বিশ্বকবি, নজরুল
সন্তান এই বাংলাদেশের।
কায়কোবাদ, বিবেকানন্দ, অরবিন্দ
সন্তান এই বাংলাদেশের।
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কণ্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
‘জয় বাংলা’ ব’লে রে ভাই॥
শ্রবণ নমুনা: বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ
বলো বলোরে বলো সবে বলোরে বাঙালির জয়
বাংলাদ্যাশের নদীর বুকে এই বলি গান গাহিয়া যায় ॥
হেই হেই হেইয়া...হেই হেই হেইয়া...হেই হেই হেইয়া
ওরে কণ্ঠ ভরা গান মোদের গোলা ভরা ধান
কতই সুখে একসাথেতে বাস করিরে ভাই
হেই হেই হেইয়া...হেই হেই হেইয়া...হেই হেই হেইয়া
ওরে নদী ভরা মাছ মোদের ফলে ভরা গাছ
ফুল ফসলের তুলনা আর এমন কোথাও নাই ॥
হেই হেই হেইয়া...হেই হেই হেইয়া...হেই হেই হেইয়া
ওরে মাঠে মাঠে কত সোনা আছে সবার জানা
সোনার দ্যাশে বাস করি ভাই অভাব মোদের নাই ॥
হেই হেই হেইয়া...হেই হেই হেইয়া
শ্রবণ নমুনা: বলো বলোরে বলো সবে
হেঁইয়ো রে হেঁইয়ো হেঁইয়ো রে হেঁইয়ো
সামাল সামাল সামাল ওরে সামলে তরী বাইও॥
বেলা গেল সন্ধ্যা হইল
কালো মেঘে গগন ছাইল-হো
ঐ দ্যাখ থাইক্যা থাইক্যা গর্জে দেওয়া
তীরের পানে ধাইও॥
নাইকা ছইয়া নাইকা ছানি
ছলাৎ ছলাৎ ওঠে পানি-হো
তুমি সাবধানে ধরিও হাল
কিনার বাইয়া যাইও॥
লাহর সায়রে ভাইরে কুলের নাইরে দিশা
গগন নামিয়া গেছে-নদীতে যে মিশা
নাইকা আমার সঙ্গী সাথী
দুই কুলে মোর কালো রাতি-হো
ঐ দ্যাখ ছেঁড়া বাদাম হাইল মানে না সাবধানে নাও বাইও॥
ঢেউ খেলে রে এই দরিয়ায় নাইকো দইরার পাড়ি
ভাঙ্গা আমার ছোট নাওয়ে বোঝাই দিছি ভারি
কেমুন কইরা হে কাণ্ডারী
ভিড়ামু এই ভাঙা তরী-হো
ও শাঁই নিদান কালের নিদানের চাঁদ
পারের নিশান দিও॥
শ্রবণ নমুনা: হেঁইওঁ রে হেঁই্ওঁ
(আমি) টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল
সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
বাংলা জনম দিলা আমারে
তোমার পরান আমার পরান এক নাড়িতে বাঁধা রে
মা পুতের এই বাঁধন ছেঁড়ার সাধ্য কারো নাই
সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
মা তোমার মাটির সুরে সুরেতে
(মাগো) আমার জীবন জুড়াইলা
বাউল ভাটিয়ালিতে
পরান খুইলা মেঘনা তিতাস পদ্মারই গান গাই
সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
বাজে ঢোল নরম গরম তালেতে
(মাগো) বিসর্জনের ব্যথা ভোলায়
আগমনীর খুশিতে
বাংলাদেশের ঢোলের বোলে ছন্দ পতন নাই
সব ভুলে যাই তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল॥
শ্রবণ নমুনা: (আমি) টাকডুম টাকডুম বাজাই
লাখো লাখো শহিদের রক্তমাখা
সবুজের বুকে লাল সূর্য আঁকা
আমাদের এই পতাকা॥
আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে
গৌরবে সৌরভে আকাশে ওড়ে
শান্তি কপোত যেন মেলেছে পাখা
আমাদের এই পতাকা॥
সবুজের বুকে আছে সজীবতা প্রাণ
লালে ত্যাগ-শৌর্য-বীর্য মহান
শান্তি সুখে যেন অঙ্গরাখা
আমাদের এই পতাকা॥
শ্রবণ নমুনা: লাখো লাখো শহীদের রক্তমাখা