বিজয় দিবস ২০১৯
- ১ পৌষ ১৪২৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৫:০০ ঘটিকা
- ১ পৌষ ১৪২৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৩৪:০০ ঘটিকা
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ
২ পৌষ ১৪২৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার। গতকাল ১ পৌষ ১৪২৬, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, সকলে মিলে দেশের গান গাইবার, দেশের কথা বলবার নতুন উদ্যোগের ধারবাহিকতায় এবারো মহান বিজয়-দিবস উদ্যাপন করেছে ছায়ানট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে দীপ্ত টেলিভিশন।
সর্বসাধারণের অংশগ্রহণ এবং সহায়তায় গত চারবারের আয়োজন সার্থক হয়েছে। এবারে ছিল ৮টি সম্মেলক গান, সাথে সম্মেলক নৃত্য। একক গান পরিবেশন করেন বিমান চন্দ্র বিশ্বাস ও সেঁজুতি বড়ুয়া এবং আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয়সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান যথারীতি বিকেল পৌনে চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাজী মিডিয়া লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান এবং ছায়ানটের নির্বাহী-সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী । অনুষ্ঠান শেষ হয় ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ ও বাঙালির পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের ক্ষণকে স্মরণ করে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইবার মধ্য দিয়ে।
সকলে মিলে নৃত্যশৈলীর সঙ্গে মুক্তকণ্ঠে দেশগান গাওয়ার এবং দেশকথা শোনার-বলার গোটা আয়োজনকেই প্রতীকীভাবে জাতীয় পতাকার রঙ দিয়ে সজ্জিত করার প্রয়াস ছিল এ আয়োজনে।
মিলিত কণ্ঠে দেশের গান গাইবার এই আয়োজনের নিরাপত্তা বিধানে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পাকিস্তান আমলে বাঙালির মনে আত্ম-পরিচয়ে বাঁচবার বিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে ১৯৬৭ সালে ছায়ানট বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু করেছিল। আজ বিশ্ব জুড়ে ধর্ম-বর্ণ-আদর্শ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখ বাঙালির সবচে বড়ো প্রাণের উৎসব। সেই সাংস্কৃতিক জাগরণের সঙ্গে মানবিক বোধসঞ্চারের লক্ষ্যে ‘সকলে মিলে দেশ-গান গাইবার, দেশ-কথা বলবার’ এই মিলনানুষ্ঠান শুরু হয় ২০১৫ খ্রীষ্টাব্দের মহান বিজয়-দিবসে। মহান বিজয়-দিবসের দিনে ভেদাভেদ দূরে ঠেলে জাতীয় পতাকার সবুজে দেহ ও মন রাঙিয়ে সর্বান্তকরণে ষোল আনা বাঙালি হয়ে উঠবার ব্রত নিতে সবাইকে আহ্বান জানায় ছায়ানট।
অনুষ্ঠানসুচি:
ক্রম | বিষয় | বর্ণনা | রচয়িতা | পরিবেশনা |
১ | স্লোগান | মুখে বাংলা, বুকে বাংলা, আমার সোনার বাংলা ..... জয় বাংলা | জহিরুল হক খান | |
২ | জাতীয় সঙ্গীত | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সম্মেলক | |
৩ | স্লোগান | জয় বাংলা | জহিরুল হক খান | |
৪ | নৃত্যগীত | ফিরে চল্, ফিরে চল্, ফিরে চল্ মাটির টানে | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সম্মেলক |
৫ | একক গান | যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সেঁজুতি বড়ুয়া |
৬ | স্লোগান | জয় বাংলা | জহিরুল হক খান | |
৭ | নৃত্যগীত | নাই নাই ভয়, হবে হবে জয় | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সম্মেলক |
৮ | স্লোগান | জয় বাংলা | জহিরুল হক খান | |
৯ | নৃত্যগীত | জাগো অনশন-বন্দি, ওঠ রে যত | কাজী নজরুল ইসলাম | সম্মেলক |
১০ | নৃত্যগীত | বল্ নাহি ভয় নাহি ভয়! | কাজী নজরুল ইসলাম | সম্মেলক |
১১ | আবৃত্তি | স্বাধীনতা তুমি | শামসুর রাহমান | ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় |
১২ | নৃত্যগীত | ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য | সুভাষ মুখোপাধ্যায় | সম্মেলক |
১৩ | নৃত্যগীত | আয়রে বাঙ্গালী আয় সেজে আয় | মুকুন্দ দাস | সম্মেলক |
১৪ | নৃত্যগীত | আমার দেশের মতন এমন | আব্দুল লতিফ | সম্মেলক |
১৫ | স্লোগান | জয় বাংলা | জহিরুল হক খান | |
১৬ | একক গান | ও আমার দেশের মাটি রে | আব্দুল লতিফ | বিমান চন্দ্র বিশ্বাস |
১৭ | নৃত্যগীত | লাখো লাখো শহীদের | আব্দুল লতিফ | সম্মেলক |
১৮ | স্লোগান | জয় বাংলা | জহিরুল হক খান | |
১৯ | জাতীয় সঙ্গীত | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | সম্মেলক | |
যন্ত্রানুষঙ্গ: | ||||
তবলা: ক) এনামুল হক ওমর, খ) স্বরূপ হোসেন | ||||
কীবোর্ড: ইফতেখার হোসেন সোহেল, দোতরা: রতন কুমার রায়, বাঁশি: মো: মামুনুর রশিদ | ||||
ঢোল: শিবু দাস , মন্দিরা: প্রদীপ কুমার রায় |