সঙ্গীতবিদ্যায়তন > পরিচিতি
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছায়ানট ঘরোয়া আর উন্মুক্ত অঙ্গনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। ষাটের দশকে দেশে সঙ্গীতশিল্পীর ঘাটতি ছিল। ঘাটতি পূরণের ভাবনায় ১৯৬৩ সালে সঙ্গীতবিদ্যায়তন করার পরিকল্পনা নেয় ছায়ানট। লক্ষ্য ছিল প্রথাসিদ্ধ সঙ্গীত সাধনায় সেখান থেকেই জন্ম নেবে নতুন শিল্পী। বিদ্যায়তনের খরচ বহনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে কার্যকরী সংসদের সভ্যদের সকলের নামে চাঁদা ধার্য হয়। আর ছিল ছাত্র বেতনের ভরসা। ১৩৭০ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুলে (বর্তমান উদয়ন বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন) সঙ্গীতবিদ্যায়তনের উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সঙ্গীতসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁর ভাই ওস্তাদ আয়েত আলী খান। দ্বারোদ্ঘাটন করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। অধ্যক্ষ হলেন ঢাকা বেতারের গুণী যন্ত্রশিল্পী মতি মিঞা (মতিয়র রহমান খান)। অবশ্য তার আগেই, নজরুলগীতিতে প্রখ্যাত শিল্পী সোহরাব হোসেন,তবলায় বজলুল করিম এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতে ফরিদা খান (বারি মালিক) ও সন্জীদা খাতুনকে নিয়ে ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের ক্লাস শুরু হয়েছিল বাংলা একাডেমীর তৃতীয় তলায়।
শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত শিক্ষণ নিশ্চিত করতে অদ্যাবধি প্রয়োজনমতো নানা প্রক্রিয়া-পদ্ধতির অনুসন্ধান করে চলেছে ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন। দিন দিন শিক্ষার্থী,শিক্ষক ও কর্মী বাড়ছে। আপন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় ঘটানোর লক্ষ্য ও সাধনায় এগিয়ে চলেছে সঙ্গীতবিদ্যায়তন। নিরন্তর কার্যক্রম ও শিক্ষণপদ্ধতি প্রভৃতির পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। যুক্ত হচ্ছে নতুন কার্যক্রম,সম্পৃক্ত হচ্ছেন সঙ্গীত-সংস্কৃতি পিয়াসী বাঙালি।