ভাষা সংস্কৃতির আলাপ
ভাষা মানুষের অন্তর্গত ভাব ও সৌন্দর্য প্রকাশের সেরা মাধ্যম। সংস্কৃতি প্রকাশেরও প্রধান অবলম্বন ভাষা। যে বিচিত্র ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে জাতিসত্তা ও সংস্কৃতি গড়ে ওঠে তার প্রামাণ্য পরিচয় পাওয়া সম্ভব যাবতীয় ভাষাকাণ্ডের মাধ্যমে। ভাষা সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না থাকলে একজন নাগরিককে শিক্ষিত-সচেতন বলে চিহ্নিত করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। সাংস্কৃতিক সাক্ষরতা ও সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে ছায়ানট শুরু করেছিল বাংলা ভাষা অনুশীলন কার্যক্রম ভাষার আলাপ। বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার মানসে ছায়ানট-এর কর্মধারায় ১৪১৯ বঙ্গাব্দে যুক্ত হয়েছিল সাহিত্য এবং শিল্প তথা পূর্ণাঙ্গ সংস্কৃতি বিষয়ে চর্চা ও পরস্পর বিনিময়ের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি পাঠচক্র। ছায়ানটের বিশ্বাস, পূর্ণ মানুষ হবার জন্য সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা অপরিহার্য। তাই সাহিত্য এবং শিল্প তথা পূর্ণাঙ্গ সংস্কৃতির পাঠের উদ্দেশ্যে ১৪২১ বঙ্গাব্দ থেকে শুরু করা হয়েছে নতুন কার্যক্রম ভাষা-সংস্কৃতির আলাপ। এতে ক্রমে ক্রমে উপমহাদেশ এবং বিশ্বের ক্ল্যাসিক সাহিত্য এবং পরবর্তী মহান সৃষ্টিসমূহ আলোচিত হচ্ছে। ১৪ দিন পর পর শনিবার সকালে এর বৈঠক বসে। প্রতি পক্ষের পাঠের বিষয় ক্লাসে, ভবনে, ছায়ানটের ফেইসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপিত হয়। প্রতি আষাঢ় মাস থেকে এক বছরের জন্য আবর্তিত এই কার্যক্রম। নিয়মিত বিদ্যার্থীদের বাইরেও কেউ বিশেষ কোনো আলাপে যোগদানে আগ্রহী হলে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে যোগ দিতে পারেন।