সংস্কৃতি-ভবন
স্বাধীনতার আগে নানা সময়ে ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুল (বর্তমান উদয়ন বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন), আজিমপুর কিন্ডারগার্টেন (বর্তমান অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়) এবং কলাবাগানের লেইক সার্কাস গার্লস হাই স্কুল ভবন থেকে কাজ পরিচালনা করে এসেছে ছায়ানট। স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাশে এসে দাঁড়ালে তিন দশকের জন্য কাজকর্ম চলে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ভবনে। সাড়ে চার দশকের সংস্কৃতিসাধনার স্বীকৃতি হিসাবে ১৯৯৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধানমণ্ডিতে ছায়ানটকে এক বিঘা জমি বরাদ্দ দেন। এই জমিতে সংস্কৃতি-ভবন নির্মাণ করে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে ব্যাপকতর অবদান রাখার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে ছায়ানট। স্বেচ্ছাসেবার মন নিয়ে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের নক্শা প্রণয়ন করেছেন প্রখ্যাত স্থপতি বশিরুল হক। কেবল সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় বরং দিনে দিনে দেশের সংস্কৃতি কর্মকাণ্ডের সহায়ক কেন্দ্রের রূপ লাভ করছে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন।